Health TipsLifestyle

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও মুক্তি পাওয়ার ১৫টি উপায়। লক্ষণ, ধরন, ঝুঁকি ও মাপার নিয়ম

নিয়মিত ওষুধ খাওয়া, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক মাত্রায় ব্যায়াম করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগটা একেবারে নির্মূল করার নজির খুবই সামান্য। এ রোগটার প্রধান প্রতিকার হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। পৃথিবীতে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ মারা যায় এবং প্রতি ১০ সেকেন্ডে দুইজন ডায়াবেটিস রোগী সনাক্ত করা হয়। তাই ডায়াবেটিকসের ভয়াবহতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত জরুরি।

ডায়াবেটিস হলে দেহ যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। রক্তে সুগারের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে ক্লান্তি, ঘন ঘন প্রস্রাব, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়। তাই আজকে আমি শেয়ার করব ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও মুক্তি পাওয়ার ১৫টি উপায়। লক্ষণ, ধরন, ঝুঁকি ও মাপার নিয়ম।

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ

  • ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা
  • ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
  • মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া
  • দুর্বল লাগা ও ঘোর ঘোর ভাব আসা
  • কারণ ছাড়াই ওজন অনেক কমে যাওয়া
  • বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হওয়া
  • চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব
  • শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা
  • চোখে কম দেখতে শুরু করা

ডায়াবেটিস মাপার নিয়ম

এ পরীক্ষাটি সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে ও খাবারের ২ ঘণ্টা পর রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হয়। এ পরীক্ষাটির স্বাভাবিক মাত্রা ৬.১ মিলি মোল/লিটার বা তার কম হলে আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন।

  • সকালে খালি পেটে রক্তে চিনির মাত্রা ৫.৮ মিলিমোলের চেয়ে কম হলে ডায়াবেটিস নেই।
  • যদি চিনির মাত্রা ৫.৮ এর বেশি অথচ ৭.৮ মিলিমোলের কম হয় তাহলে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে।
  • চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে মনে করা হয়।
  • ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাবার দুই ঘণ্টা পর যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোল বা তার থেকে কম হয়, তবে ডায়াবেটিস নেই।
  • চিনির মাত্রা ১১ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিস বলে ধরে নিতে হয়।

ডায়াবেটিস কেন হয়?

আমরা যখন কোন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাদ্যের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রুপান্তরিত করে। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন নিসৃত হয়, সেটা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে নির্দেশ দেয় চিনিকে গ্রহণ করার জন্যে। এই চিনি কাজ করে শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে। শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে তখনই ডায়াবেটিস হয়। এবং এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।

More Posts:

ডায়াবেটিস এর ধরন

ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ

টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেন নি কী কারণে এরকমটা হয়। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। অথবা অগ্ন্যাশয়ে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও এমন হতে পারে।

অন্যটি টাইপ টু ডায়াবেটিস। এই ধরনের ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত তাদের অগ্ন্যাশয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা এই হরমোনটি ঠিক মতো কাজ করে না।

Diabetes Guidelines
Diabetes Guidelines

ডায়াবেটিস কাদের ঝুঁকি বেশি

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে।

যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এবং যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

Diabetes Control Tips in Bangla
Diabetes Control Tips in Bangla

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা এমন হওয়া উচিত

  • চিনি বা মিষ্টি পরিত্যাগ করতে হবে
  • নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া
  • তেতো জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া
  • ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে
  • ফাস্টফুড পরিত্যাগ করতে হবে
  • সাদা আটা বা ময়দার রুটির পরিবর্তে ভুসিযুক্ত লাল আটা খেতে হবে
  • ক্যালোরিযুক্ত খাবার পরিমাণ মত খাওয়া
  • কার্বহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার না খাওয়া

ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের খাবার তালিকা

প্রতিদিনসময়করণীয়
সকাল ২ দিন খালি পেটে৬-৭টারাতে (১চামচ জিরা) ভেজানো ১গ্লাস জল
৪ দিন খালি পেটে সকালে৬-৭টাঅ্যালভেরার জুস
২ ঘন্টা গ্যাপ একটু পর৯ টাগ্রীন টি, ক্রীমক্রেকার বিস্কুট
বেলায়১১ টারুটি সব্জি, ডিম সিদ্ধ ও ফল
দুপুর২ টাভাত, মুসুর ডাল/সোয়াবিন/রাজমা
মাছ/ডিম/মাংস ও সবুজ শাক সবজি
সন্ধ্যা৫-৬টাগ্রীন টি, মুড়ি/বিস্কুট
রাতে৯-১০টাভাত/রুটি, সবজি, মাছ বা ডিম
Food List of Diabetic Patients

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও মুক্তি পাওয়ার ১৫টি উপায়

এমন কিছু প্রমাণিত উপায় আছে, যেগুলো নিয়মিতভাবে মেনে চললে আপনি জীবনে কখনও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবেন না। যদি না আপনার পরিবারের ডায়াবেটিসের কোনো ইতিহাস না থাকে।

০১। সবুজ চা (গ্রিন টি)
প্রতিদিন সবুজ চা পান করলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম থাকে। সবুজ চা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

০২। করল্লা
তিন থেকে চারটি করল্লা নিন। এবার ভেতরের বীজগুলো ফেলে করল্লা ব্ল্যান্ডারে দিয়ে জুস তৈরি করুন। নিয়মিত এই জুস খাওয়া রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে উপকারী।

০৩। তুলসী
ঔষধি গাছ তুলসীকে বলা হয় ডায়াবেটিস রোগের ইনসুলিন । গবেষণায় দেখা গেছে, তুলসীপাতা বিবিধভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খালি পেটে তুলসীপাতার রস পান করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। চাইলে তুলসীর রস আপনি চায়ের সাথে মিলিয়েও খেতে পারেন।

০৪। নিম
নিম আরেকটি চমৎকার উপাদান রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি নিমের পাতা খালি পেটে খান। এটি ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির রোগীদের জন্য একটি উপকারী ঘরোয়া উপায়।

০৫। প্রচুর হাঁটাহাঁটি করুন
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক সেরা ব্যায়ামগুলোর একটি হাঁটাহাঁটি। প্রতিদিন অন্তত ৪০মিনিট হাঁটাহাঁটি করলেই আপনার বিপাকীয় হার এমন পর্যায়ে থাকবে যা আপনার দেহে ইনসুলিনের মাত্রাকেও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রাখতে যথেষ্ট। ফলে ডায়াবেটিসেরও ঝুঁকিও কমে আসবে।

০৬। কফি পান করুন
বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত দুই কাপ কফি পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে আসে ২৯%। তবে চিনি ছাড়া কফি পান করতে হবে। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এই কাজ করে।

০৭। আমলকি
প্রতিদিন দুই বেলা ২০ মিলিলিটার করে আমলকির জুস খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভালো। এ ছাড়া প্রতিদিন দুই বেলা আমলকির গুঁড়াও খেতে পারেন। এটি রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

০৮। পাকা পেঁপে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পেঁপে মানবদেহের প্রতিক্রিয়াশীল প্রোটিন ‘সি’ ও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ইতিবাচক সাহায্য করে।

০৯। দুধ
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’-এর ভালো উৎস দুধ। আর সেজন্য দুধ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারী খাবার। অনেকের দুধ খেলে পেটে বায়ু হয়, তাই আপনি চাইলে দুধের ফ্যাটি অংশটি ছাড়া টকদই ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবারও খেতে পারেন। সকালের নাশতায়ও আপনি রাখতে পারেন দুধ অথবা দুগ্ধজাত কোনো খাবার।

১০। সালাদ খাওয়া
প্রতিদিন এক বাটি সালাদ খান। যার মধ্যে থাকবে গাজর, শসা, লেটুস, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। প্রতিদিন দুপুরে বা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার আগে এই সালাদ খেতে হবে। সালাদে এক চা চামচ ভিনেগারও যুক্ত করতে পারেন। ভিনেগার রক্তকে কমমাত্রায় সুগার শোষণে সহায়তা করে। আর রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমবে।

১১। এক্সারসাইজ করুন
এক্সারসাইজ ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কারণ, এক্সারসাইজ ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওজন কমলেই পরোক্ষভাবে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। ৬০-৮০ শতাংশ রোগীর ডায়াবেটিসের সঙ্গে ব্লাড প্রেশারও থাকে যা এক্সারসাইজ করলে কমতে থাকে। নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়াকেও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

যাদের ওজন বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে তাদেরও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এক্সারসাইজ করা উচিত। তবে এক্সারসাইজ মানে কিন্তু শুধুই হাঁটা নয়। সাঁতার কাটতে পারেন, জগিং, স্কিপিং, সাইক্লিং, জিমেও যেতে পারে। প্রত্যেকদিন অন্তত ৩০-৬০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিত।

১২। ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন
আজকাল চাইলেই হাতের কাছে পাওয়া যায় নানা ধরনের ফাস্টফুড। যা দেখে হয়তো লোভ সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু ফ্রাইস, পিজ্জা, বার্গার এর মতো ফাস্ট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে স্থুলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, হজমে সমস্যা এবং হৃদরোগের মতো নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এসব খাবার দেহে ইনসুলিনের মাত্রায়ও ক্ষতিকরভাবে হেরফের ঘটিয়ে দিতে পারে। যা থেকে ডায়াবেটিসও হতে পারে।

১৩। সঠিক খাদ্যাভ্যাস
সঠিক খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। আপনার ডায়াবেটিসের ধরন অনুযায়ী খাবারের একটি তালিকা তৈরি করে নিন বা আপনার চিকিৎসককে একটি খাদ্যতালিকা তৈরি করে দেয়ার অনুরোধ করুন। সেটা কঠোরভাবে মেনে চলুন।

১৪। তিসি
এটি একধরনের বীজ, যার ইংরেজি নাম ফ্লেক্সসিড। আমরা এটাকে তিসি হিসেবেই চিনে থাকি। তিসিবীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই বীজ খুবই কার্যকর। তিসি বীজ ফাইবার, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের ভালো উৎস। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তিসি রাখতে পারেন। এটা রক্তে চিনির মাত্রা কমায়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তিসিবীজ গুঁড়া করে প্রতিদিন দুই গ্লাস পানিতে তিন চা চামচ মিশিয়ে পান করুন।

১৫। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন
মাথাব্যথা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগও হতে পারে অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে। মানসিক চাপ থেকে নিজেকে সবসময় মুক্ত রাখুন। এতে আপনার দেহে কর্টিসোল হরমোনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে।

বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলছেন, যাদের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অবশ্যই বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। এজন্য সবসময় হাসপাতালে যেতে হবে এমন নয়। এখন অনেক ফার্মেসিতে স্বল্পমূল্যে দ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যায়। সেখান ডায়াবেটিস শনাক্ত হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মি. সাইফুদ্দিন বলছেন, ডায়াবেটিস যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে, সেই রোগীর জন্য সেটা ততো ভালো। তাতে তিনি যেমন রোগটির চিকিৎসা দ্রুত শুরু করতে পারবেন, পাশাপাশি তার জীবনযাপনও একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে।

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এবং রোগ মুক্ত থাকুন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়, ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়, ডায়াবেটিস এর লক্ষণ, ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, ডায়াবেটিস এর কারন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়, ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button