Health TipsLifestyle

হস্তমৈথুনের ফলে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান কি? হোমিও চিকিৎসা

হস্থমৈথন করছেন তো শারিরিক সমস্যায় পড়ছেন। হস্তমৈথুন মানেই শারিরিক সমস্যা, সেটা কম হোক বা বেশি। হস্তমৈথুনের ফলে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে এই প্রশ্ন কিন্তু অনেকের মুখে তাই আজকে আমরা আলোচনা করব। এই সমস্যার সমাধান কি?

প্রথমেই বলি হস্তমৈথুন হারাম এবং কবিরাহ গুনাহ, হস্তমৈথুন চরম মাত্রার পাপ ইসলামের দৃষ্টিতে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হস্তমৈথুন বন্ধ করুন।

হস্তমৈথুন এমন এক সমস্যা যাতে একবার কেউ আসক্ত হয়ে পড়লে প্রপার ট্রিটমেন্ট ছাড়া এ থেকে রেহাই পাওয়ার অন্য কোনো কার্যকর উপায় থাকে না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, অভ্যাসটি একসময় অনেকের যৌন জীবন বিপর্যস্ত করে তুলে। ফলে অনেক চিকিৎসকই এটাকে খুব বাজে অভ্যাস বলে চিহ্নিত করে থাকেন। হস্তমৈথুনের কারণে মানসিক ও শারীরিক এই দুই ধরণের সমস্যাই হয়ে থাকে। সেইসাথে রয়েছে নানা ক্ষতিকর দিক।

হস্তমৈথুনের ফলে দ্রুত বীর্যপাতের কারণ কি?

একটা ছেলে বা মেয়ে ১৩/১৪/১৫ বছর বয়সে যখন বুঝতে পারে সে ধীরে ধীরে তারা হয়ে উঠছে যৌনতা তার শরীরে আসছে ঠিক সে সময়েই সে বন্ধু বয়সে বড় কারো প্ররোচনায় পড়ে হস্তমৈথুনে জড়িয়ে পরে। প্রথমে প্রচন্ড সুখ পায়। কারন হস্তমৈথুনে সে তখন নতুন। শরীর কাঁপিয়ে বীর্যপাত করে চরম সুখ লাভ করে। এবং একসময় হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সে প্রতিদিন হস্তমৈথুন করতে থাকে। দীর্ঘসময় পর বুঝতে পারে এটা করা ঠিক হয়নি। তখনি গুগলে সার্চ করে বা জিজ্ঞাসা করে হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায় বা এর সমাধান কি।

পুরুষের সেক্স তার মস্তিষ্ক থেকে লিঙ্গে। আর নারীর সেক্স পুরো শরীরে। পুরুষের সেক্স পাওয়ার নিয়ন্ত্রন করে তার মস্তিষ্ক। একটা ছেলে হস্তমৈথুন কোথায় করে? নিশ্চয়ই টয়লেটে বা নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে। সবার চোখের আরালে, কেউ যেনো দেখে না ফেলে তাই সে যত দ্রুত সম্ভব যৌন সুখ লাভ করতে চায়। হস্তমৈথুনের চরিত্রই হচ্ছে দ্রুত উত্তেজনা এবং দ্রুত বীর্যপাত। ছেলেরা এই দ্রুত সুখ নিতে গিয়ে প্রতিবারই দ্রুত বীর্যপাত করে, আর তার মস্তিষ্ক এটা শিখতে থাকবে। এই দ্রুত নামের সফটওয়ার টা তার মস্তিষ্ক ইন্সটল করে নেয়। যার ফলে তার দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা দেখা দেয় কারন ব্রেণ এটাই ধরে রেখেছে যে তার শরীরের চাহিদা দ্রুত উত্তেজনা দ্রুত বীর্যপাত”।

যখন সে স্ত্রীর সাথে মিলন করতে যায় তখনও ব্রেণ একই সিগন্যাল পাঠায় যার কারনে সে নগ্ন স্ত্রীকে দেখা মাত্রই উত্তেজিত হয়ে যায় এবং অতি দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলে। এটা নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে যায় কারন দীর্ঘদিনের অভ্যাস হয়ে গেছে।

হস্তমৈথুন করলে কি কি সমস্যা হয়

  • অতিমাত্রায় হস্তমৈথুন করলেঃ একজন পুরুষ প্রধানত যেসব সমস্যায় ভুগতে পারে, তার মধ্যে একটি হলো নপুংসকতা (Impotence)। অর্থাৎ ব্যক্তি যৌন সঙ্গম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়। হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক (Impotent) হয়ে যায়।
  • স্মৃতিশক্তি হ্রাস
  • অকাল বীর্যপাতঃ অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
  • মাথা ঘোরা বা মাথা ব্যথা হতে পারে
  • হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়ঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। ফলে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। একজন পুরুষ যখন স্ত্রী গমন করেন তখন তার থেকে যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মতো। কিন্তু হস্তমৈথুনের ফলে তা কমে দুই কোটির নিচে চলে আসে। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোনো পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয়, তাহলে সে পুরুষ থেকে কোনো সন্তান হয় না।
  • দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
  • হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন এবং চোখে ঘোলা দেখতে পারেন।
  • শরীর দূর্বল
  • সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া।

হস্তমৈথুনের কারনে কত ক্যালোরী খরচ হয়

অনেকের মনে কয়েকটি প্রশ্ন জম্ন নেয় যেমন হস্তমৈথুনের ফলে কতো ক্যালোরী খরচ হয়? হস্তমৈথুন করার ফলে আমার লিঙ্গের গোড়ার দিক সরু হয়েছে ও লিঙ্গ উথান হচ্ছে না এটা কি ভালো হবে?

এটি নির্ভর করে আপনি কতক্ষণ যাবত করছেন তার উপর। সাধারণত ৬ cal/min আর এই ক্যালরি পূরণ করতে যে কোনো খাবার যেমন চিনি (প্রতি: ২.৮ গ্রামে ১১ ক্যালরি থাকে) খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এতে হয়তো আপনার ক্ষয়কৃত শক্তি ফিরে পাবেন, কিন্তু ইন্টার্নাল ড্যামেজের ক্ষতি কোনোভাবেই সহজে পূরন করতে পারবেন না।

আপনার কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে আমাদের প্রশ্ন ও উওর ওয়েবসাইটে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

হস্তমৈথুনের ক্ষতি পূরণের উপায়

প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে যৌন স্বাস্থ্য সমস্যার অনেক সমাধান। প্রতিদিন খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে এলেই স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন লাভ করবেন খুব সহজেই। তো চলুন জেনে নেই যৌন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এমন কিছু খাবারের কথা।

  • ডিমঃ ডিম সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
  • দুধঃ যৌন শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখতে দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভুমিকা রাখে। আবু নাঈম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি।) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (স.) এর কাছে পানীয় দ্রব্যের মধ্যে দুধ সবচেয়ে বেশী প্রিয় ছিল। এর রহস্য হলো এই যে, দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য সৃষ্টি করে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।
  • মধুঃ মধুর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়।
  • চাঃ প্রতিদিন দুধ-চিনি ছাড়া চা পান করলে শরীরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। চা ব্রেইন কে সচল করে, রক্ত চলাচল বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত দিন থেকে ৩ কাপ পর্যন্ত চিনি ছাড়া সবুজ চা বা রঙ চা খেলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমে যায়।
  • বাদাম ও বীজঃ কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
  • রসুনঃ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহ.) ‘জামউল জাওয়ামে’ নামক গ্রন্থে দায়লামী থেকে একটি বর্ণনা উদৃত করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, হে লোক সকল! তোমরা রসুন খাও এবং তদ্দারা চিকিতসা করাও। কারণ, এতে রোগ নিরাময় হয়।
  • রঙিন ফলঃ যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কলা, কমলা লেবু ও তরমুজ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
  • তৈলাক্ত মাছঃ তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে।
  • শাক সবজিঃ পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।

দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার সমাধান

দ্রুত বীর্যপাতের বেশ কিছু চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে।

আসলে হস্তমৈথুনের কারনে দ্রুত বীর্যপাত এই সমস্যা ভালো হয়। কারন এটা রোগ নয় এটা মানুষিক সমস্যা। কিন্তু সেটার জন্যে প্রচন্ড ধৈর্য লাগবে। পাপ করেছেন খেসারত তো একটু দিতেই হবে। এজন্যে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে এবং প্রবিত্র থাকার চেষ্টা করতে হবে। পর্ণ ভিডিও দেখা যাবেনা, প্রেমিকা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে নিতে হবে অথবা কোন ধরনের আবেগি কথা বলা যাবেনা।

হস্তমৈথুনে পুরোপুরি ছেড়ে দিলে বীর্য আবার ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকবে এবং শুক্রাণু বৃদ্ধি পাবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শিমুলের মূল টানা ২ মাস সকাল বেলা খালি পেটে চিবিয়ে খাবেন তাতে বীর্য ঘন এবং সাদা হবে। তারপরও ভালো না হলে একজন হোমিও যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বললেই আপনার সমস্যা দূর হবে।

সেক্সয়াল থেরাপিঃ এটা এমন একটি থেরাপি যেখানে চিকিৎসক আপনাকে রুটিন করে দেবেন আপনি কোন সময় আপনার সঙ্গিনীর সাথে আলিঙ্গন করবেন আর কখন করবেন না। যদিও আপনার সঙ্গিনীর সাথে মেলামেশা কখন করবেন কখন করবেন না এটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু রোগের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। সুতরাং সেক্সুয়াল থেরাপি কে আপনার পজিটিভ হিসেবে মেনে নিতে হবে শুধু আপনার সুস্থ্যতার জন্য।

সাইকোথেরাপিঃ এটি হচ্ছে এক প্রকার কাউন্সেলিং। আপনার যৌন সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের সাথে খোলামেলা বলা ও পরামর্শ গ্রহণ করা। আপনি যদি আপনার সমস্যা বিস্তারিতভাবে চিকিৎসকের কাছে বলতে সমর্থ হন তবে চিকিৎসক আপনাকে হয়তো সুপরামর্শ দিতে সক্ষম হবেন। এতে করে আপনার মনোবল দৃঢ় হবে। আপনার ‍দুঃশ্চিন্তা কমে যাবে। শুধুমাত্র সাইকোথেরাপির মাধ্যমেই এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

ওষুধ পত্রঃ দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসায় কিছু ক্রিম ব্যবহার করতে দেয়া হয়। সেগুলো যথাক্রমে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও টপিক্যাল অ্যানেসথেটিক ক্রিম। এসব ওষুধ সাধারণত লিঙ্গের অনুভূতিকে কমিয়ে দেয়। ওষুধ প্রথম অবস্থায় খুব অল্প মাত্রায় ব্যবহার করতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ক্রীম কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

আপনারা তো অনেকেই জানেন যে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা হলো মূলত লক্ষণ নির্ভর। তবে এ কথা গ্যারান্টি দিয়েই বলা যায় যে, সেক্সুয়াল সমস্যাগুলোর সমাধান হোমিওপ্যাথিতে খুব ভালোভাবেই করা যায়।

নিচে কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষুধ লক্ষণ ভিত্তিক উল্লেখ করা হলো।

  1. Lycopodium (লাইকোপোডিয়াম) – হস্তমৈথুন করে করে অবস্থা শেষ করে ফেলেছে, স্বপ্নদোষ কিংবা অত্যাধিক স্ত্রী সহবাস করার কারণে ধ্বজভঙ্গ রোগ হয়েছে। এখন আর কোন ভাবেই স্ত্রী সঙ্গমে ইচ্ছা জাগে না। জাগলেও লিঙ্গ শক্ত হয় না। এমন ক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে এই ওষুধ ব্যবহার করা যায়।
  2. Conium Mac (কোনিয়াম) – স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা খুবই প্রবল কিন্তু লিঙ্গ উথ্যান হয় না। শক্ত হয় না। চুমু দেয়ার সময়ই হয়তো বীর্য বের হয়ে যায়। অথবা, লিঙ্গ যোনিতে প্রবেশ করানো মাত্রই বীর্য বের হয়ে যায়। এরকম ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  3. Agnus Castus (এগনাস কাস্ট) – অবৈধভাবে হস্তমৈথুন, সেক্স ডল বা অপব্যবহারের মাধ্যমে বীর্য অতিরিক্ত ক্ষয় করে যারা ধ্বজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারযোগ্য।
  4. Acid Phos (এসিড ফস) – স্ত্রী সহবাসের কারণে মাথা ঘুরে, রাতে ২ বা তার অধিক বার সহবাস করলে মাথায় প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয় এবং লিঙ্গ শিথিল তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যায়।
  5. Titenium (টিটেনিয়াম) – যাদের বীর্য পাতলা এবং অতি শী্ঘ্রই বীর্যপাত হয় তাদের জন্য এই ওষুধ।
  6. Caladium Seg (ক্যালেডিয়াম) – স্বপ্নদোষ হয়ে লিঙ্গ একেবারে শিথিল হয়ে পড়েছে। মন বার বার স্ত্রীর সাথে আলিঙ্গন করতে চায় কিন্তু লিঙ্গে শক্তি আসে না। অর্থাৎ লিঙ্গ দুর্বল হয়ে গেছে কিন্তু মন দুর্বল হয়নি। যদিও কখনো কখনো সহবাস করা যায় কিন্তু খুব অল্প সময়েই বীর্যপাত হয়ে যায়। এরকম লক্ষণ থাকলে এই ওষুধটি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  7. Avana Sat (অ্যাভেনা স্যাট) – অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ কিংবা হস্তমৈথুনের কারণে যারা শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল তাদের জন্য এই ওষুধ প্রযোজ্য।
  8. Anacardium Ori (এনাকার্ডিয়াম) – যেসব রোগীর স্মরণশক্তি একেবারেই কম এবং প্রস্রাবের সময় অনেক সময় বীর্যপাত হয়ে যায় তাদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারযোগ্য।
  9. Nuphar Lut (নুপার লুটিয়া) – কাম উত্তেজনার কথা-বার্তায় কিংবা উত্তেজনায় যদি অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায় তবেই এই ওষুধ প্রযোজ্য। সেক্সুয়াল কথা-বার্তা শুনলে কিংবা বললেই বীর্যপাত হয়ে যায় এমন ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য ওষুধ এটি।
  10. Salix Nig (স্যালিক্স নায়াগ্রা) – মন থেকে খুব খুব স্ত্রীর সাথে আলিঙ্গন করতে চায় কিন্তু লিঙ্গ শক্ত হয় না যাদের তাদের এই ওষুধ ব্যবহারযোগ্য।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই তথ্যগুলো কেবল স্বাস্থ্য সেবা সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জনের জন্য। অনুগ্রহ করে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনে আপনার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে।

আরো পরুনঃ

সবাই হস্তমৈথুন পরিহার করুন, তা নাহলে ভবিষ্যতে খেসারত দিতে হবে অনেক। একসময় বিয়ে হবে তখন বৌউ এর চাহিদা কিভাবে মিটাবেন এটা মাথায় রাখুন। লিঙ্গ কি হাতে ব্যাবহার করার জন্যে? তাই হস্তমৈথুন পরিহার করুন এবং সেই সাথে প্রচলিত ভুল ধারণা গুলোও পরিহার করুন। মাথাতে কোন দুঃশ্চিন্তা নিবেননা। নামাজ পড়ুন এবং পবিত্র থাকার চেষ্টা করুন। পড়ালেখা বা কাজে নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses User Verification plugin to reduce spam. See how your comment data is processed.
Back to top button